logo
ads

অটোর সিন্ডিকেটের নেতার হাতে নাজেহাল সাংবাদিক পরিবার

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশকাল: ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৭:৩৩ পি.এম
অটোর সিন্ডিকেটের নেতার হাতে নাজেহাল সাংবাদিক পরিবার

থানা শহরে অটোরিক্সার ড্রাইভার ও এদের সিন্ডিকেটে দিসে হারা সাধারণ জনগণ। লোকাল স্ট্যান্ডে এদের কাছে জিম্মি যাত্রীরা, দূরপাল্লার বাসের যাত্রীদের পেলে তো কোন কথাই নেই। তেমনি অটোরিক্সার ও হোন্ডার এক ভয়াবহ সিন্ডিকেট পিরোজপুর জেলার কাউখালী থানার শিয়ালকাঠি চৌরাস্তা ড্রাইভার মিজান, ড্রাইভার জসিম  ও বাচ্চু  সিন্ডিকেট। এই মিজানদের সেল্ডার দেয় বাচ্চু ও ড্রাইভার জসিম ।  আর বাচ্চুকে কে সেল্টার দেয় তার উৎস খোঁজা হচ্ছে।   গত ২১/১২/২৫ ইং তাং রাত আনুষ্ঠানিক ৭:৩০ ঘটিকার সময় কাউখালীর বেকুটিয়া ব্রিজ এর নিচে সৌন্দর্যের দৃশ্য অবলোকন করে ও  স্ট্রিট ফুড খেয়ে ফেরার পথে এই সাংবাদিক পরিবারের ১২ জন ( মহিলা বাচ্চা সহ)  শিয়ালকাঠী চৌরাস্তায় হেনস্তার সিকার হয়। অটো সিন্ডিকেটের ব্যাক্তিরা চৌরাস্তা থেকে বাসা বাড়ি পর্যন্ত (ভান্ডারিয়া এরিয়া) ছোট অটো প্রতিটির জন্য ভাড়া ৫০০ টাকা চায়, সচরাচর ভাড়া ১০০ থেকে ১২০ টাকা। এদের কেউ বাচ্চু, ড্রাইভার জসিম, ড্রাইভার মিজানের অনুমতি ব্যাতিত ভাড়া কম নিতে পারবে না। এত ভাড়া কেন? 

প্রশ্ন করা হয় অটোর ড্রাইভারকে, কথা চালালালি চলছিল অটোরিক্সা ড্রাইভার এর সাথে কিন্তু নেতা মিজান এসে শুরু করে পুরো গালাগালি ও মহিলাদের সাথে অসালিন কাথাবার্তা সাথে যুক্ত হয় বিএনপির শ্রমিক নেতা পরিচয় দানকারী ড্রাইভার জসিম ,এর পর যুক্ত হয় বাচ্চু সহ আরো কয়েকজন।  ঐদিন সন্ধ্যার পর এমন ঘটনা ঘটে বার্তা প্রবাহের সহ সম্পাদক ও প্রতিদিনের কাগজের সিনিয়র রিপোর্টের পরিবারের সদস্যদের সাথে। সাংবাদিক স্বপনের পরিবার নিয়ে বেরাতে এসে এই হেনস্তার শিকার হন ,তাৎক্ষনিক বিষয়টি অবহিত করা হয় এলাকার বিএনপির সিনিয়র নেত্রীবৃন্দকে ,জেলা ছাত্র দলের সাবেক সভাপতি মামুন ও চৌরাস্তা ব্যাবসায়ীদের সংগঠনের সভাপতি দেলোয়ার ও ডাঃ মন্টুকে। থfনাকেও অবহিত করা হবে বলে জানান ,গত ২২/১২/২৫ সকালে চৌরাস্তায় ডাঃ মন্টু সাহেবের দোকানে বসা হয় এই বিষয়টা নিয়ে, সকাল ১০ টা থেকে ১১:৩০ পর্যন্ত এ বিষয় নিয়ে আলোচনা ও সমঝোতার চেষ্টা করে বাজার কমিটির সভাপতি দেলোয়ার সহ সভাপতি ডাঃ মন্টু সহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, কিন্তু ড্রাইভার মিজান ও ড্রাইভার জসিমকে তারা উপস্থিত বৈঠকে  না এনে বাচ্চুকে দিয়ে ক্ষমা চাওয়ালো এবং বিষয়টি আপোষ করার চেষ্টা হয়।

তবে সাংবাদিক স্বপন কাউখালীর সন্তান তাই এদের বিরুদ্ধে থানায় ইভটিজিং মামলা দেয়ার জন্য প্রস্তুতি নেয়ার খবর শুনে চৌরাস্তার বাজার কমিটির সভাপতি দেলোয়ার, ডাঃ মন্টু সহ গণ্যমান্য রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গের অনুরোধে মামলা থেকে বিরত থাকে।  এলাকায় কয়েকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, এই মিজান বাচ্চু এরা দুই ভাই। বাবার নাম মোজাম্মেল কারী।  এদের হাতে এলাকার অনেকেই নাজেহাল হয়েছে।নাম প্রকাশে কয়েক জন জানালো। ভুক্তভোগী সাংবাদিক জানান, আজ আমার সাথে এমন ব্যবহার ও ইভটিজিং হলো কাল অন্য আর একজনের সাথে হবে, পরশু অন্যজনের সাথে হবে। এমনটা যাতে না হয় তার জন্য চৌরাস্তায় একটা পুলিশ ফারি বসানোর জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। কাউখালী প্রেসক্লাবের সভাপতি রিয়াদ মাহমুদ সিকদারকে ক্ষুদে বার্তার মাধ্যমে অবহিত করা হয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর

হাইলাইটস

বিশেষ সংবাদ